মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
Online Edition

আমার মন-প্রাণ এখনও কাশ্মীরে পড়ে আছে  -ইরফান পাঠান

৬ আগস্ট, ইন্টারনেট : ভারতের তারকা ক্রিকেটার ইরফান পাঠান এক টুইট বার্তায় বলেন, আমার মন-প্রাণ এখনও কাশ্মীরে পড়ে আছে। সেখানে না-জানি এখনও কত ভারতীয় সেনা আছেন। কাশ্মীরে ভাই-বোন আছেন।

আরেক টুইটে ইরফান লিখেছেন, অরমনাথ যাত্রীদের ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে। তাদের তীর্থযাত্রা থামানোর কথা বলা হয়েছে। কারণ তীর্থযাত্রীরা হুমকির মধ্যে আছেন। সেখানে তীর্থযাত্রা যাচ্ছে বলেই এমন সন্ত্রাসী হামলার হুমকি আসছে বলেও মনে করছেন অনেকে।

জঙ্গি হামলার শংকায় ভুগছে জম্মু-কাশ্মীর। এ জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটক থেকে শুরু করে অমরনাথ যাত্রী-সবাইকে ভূস্বর্গ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাদেশিক সরকার। এবার ক্রিকেটারদের উপত্যকা ত্যাগের নির্দেশ দিল তারা।

সেই তালিকায় আছেন ভারত জাতীয় দলের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান। বর্তমানে তিনি জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের পরামর্শদাতা। নির্দেশনা পেয়ে একে একে কাশ্মীর ছেড়েছেন রাজ্য দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা।

কয়েকদিন পর বিজয় হাজারে ও কোচবিহার ট্রফির খেলা রয়েছে। এর আগে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটার নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেল কাশ্মীরের। সরকারি নির্দেশ পেয়ে আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সিইও বুখারির সঙ্গে বৈঠক করেন ইরফান। তাতে আপাতত সবকিছু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

ইরফান পাঠান বলেন, কাশ্মীর ক্রিকেটের একটু ক্ষতি হয়ে গেল। আশা করছি, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে।

শুক্রবার এ এলাকা ছাড়ার ঘোষণা এসেছে। শনিবারই সব ক্রিকেটার বাড়ি ফিরে গেছেন। রোববার বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন পাঠান। এর আগে তিনি বলেন, ছেলেরা নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছে। আমি তাদের অভিভাবকদের ফোন করে খোঁজ নিয়েছি। এটা স্বস্তির।

সিনিয়র-জুনিয়র ক্রিকেটারদের ৮টি দলে ভাগ করে প্রস্তুতির পরিকল্পনা করেছিল কাশ্মীর। নির্বাচকদেরও উপস্থিতিতে এসব ক্যাম্প থেকে প্রতিভা খুঁজে দল গঠন করা হবে। এ লক্ষ্যে উপত্যকায় শিবির গেড়েছিলেন ক্রিকেটাররা।

তবে হঠাৎই সব স্তম্ভিত হয়ে গেল। তদুপরি, কাশ্মীরে ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন উঠল। ইরফান মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে অন্য রাজ্যে গিয়ে প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে। অবশ্য সবকিছু নির্ভর করছে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ওপর।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ